যখন তখন নোট রাখার জন্য, প্ল্যানিং এর জন্য কিংবা নোশন এর বিকল্প হিসেবে অবসিডিয়ান একটা দুর্দান্ত অপশন, এবং কমপ্লিটলি ফ্রি। আপনি যদি এখনো অবসিডিয়ান ইউজ না করে থাকেন তাহলে আজকেই একটা ট্রাই দিন – ভালো লাগবে এইটা নিশ্চিত। গুগল কিপ বা মাইক্রোসফটের ওয়ান নোটের মতো জটিল না – একদম সিম্পল আর ইজি। আর উইন্ডোজ, লিনাক্স কি মোবাইল সব জায়গাতেই ব্যবহার করতে পারবেন।
অবসিডিয়ান এর একটা ফিচার আছে যেখানে নোটগুলো ক্লাউডে সিংক করে রাখা যায়। অর্থাৎ আপনি নোট লিখলেই সেটা ক্লাউডে সেভ হয়ে যাবে, পরবর্তীতে অন্য কোনো ডিভাইসে সিংক করে রাখা নোটগুলো একসেস করতে পারবেন। এই দরকারি ফিচারটা কিন্তু ফ্রি না – এটার জন্য আপনাকে অবসিডিয়ান সিংক নাম একটা ফিচার কিনতে হবে। কিন্তু একটু চালাক হলেই এই ফিচারটাও আপনি একদম ফ্রি ইউজ করতে পারবেন। কিভাবে?
একদম সিম্পল। আপনার মেশিনে গুগল ড্রাইভ বা ওয়ানড্রাইভ বা ড্রপবক্স ইনস্টল করে নিন। অবসিডিয়ান যেই ফোল্ডারে সব নোটগুলো সেভ করে রাখে (যেটাকে অবসিডিয়ান ভল্ট বলে ) সেই ভল্ট ফোল্ডারটা এই গুগল ড্রাইভ / ওয়ানড্রাইভ বা ড্রপবক্সের সাথে সিংক করে নিন। এর ফলে যখনি আপনি কোনো নোট এডিট করবেন বা নতুন নোট লিখবেন সাথে সাথে সেটা আপনার ক্লাউড ড্রাইভে আপলোড হয়ে যাবে, যেটা পরবর্তীতে অন্য মেশিনে সিংক করে নিতে পারবেন চাইলেই।
অবসিডিয়ান ইউজ না করে থাকলে আজকেই একটা ট্রাই দিয়ে দেখুন, আর ছাড়তে পারবেন না।
প্রতি সপ্তাহেই ব্রাউজ করার সময় জাভাস্ক্রিপ্ট, টাইপস্ক্রিপ্ট, পিএইচপি, লারাভেল, ওয়ার্ডপ্রেস, সিএসএস, টেইলউইন্ড এবং পাইথন রিলেটেড নানারকম আর্টিকেল, প্রজেক্ট, টুলস এবং SASS সার্ভিস সামনে আসে। আমি এগুলো রেগুলার বুকমার্ক করে রাখি সেই ২০১৫ সাল থেকেই। আজকে একটা মজার ডিসিশন নিয়েছি – একটা উইকলি নিউজলেটার সার্ভিস (ফ্রি) চালু করব ।এখানে আমি প্রতি সপ্তাহের খুঁজে পাওয়া ইন্টারেস্টিং সব লিংক, টুলস এবং সার্ভিস গুলো গুছিয়ে সাবস্ক্রাইবারদের কাছে মেইল করে দেব
একটা কথা নিশ্চিন্তে বলতে পারি – ইউ উইল লাভ দিস কালেকশন, ইউ উইল লাভ দিস নিউজলেটার
আমার এই নিউজলেটারের জমজমাট প্রথম ইস্যু আগামীকাল বুধবার রাত নয়টায় সেন্ড করব। এরপর থেকে প্রতি বুধবারেই সেন্ড করা হবে। ডেভেলপারদের জন্য প্রতি সপ্তাহের দারুন একটা কিউরেটেড কালেকশন মিস না করতে চাইলে এখুনি সাবস্ক্রাইব করে ফেলুন এখানে http://newsletter.hasin.me
<3
দেড়মাস আগে আইডিবি গিয়েছিলাম পেনড্রাইভ কিনতে, সেখানে কোর্সেয়ার এর এই দুইটা ইউএসবি ৩ পেনড্রাইভ দেখেই পছন্দ হয়ে গিয়েছিল। বামের লালটা ভয়েজার জিটি ১২৮ জিবি, এটার রিভিউও খুবই ভালো। স্পেশালি রাইট স্পিড দারুন, আসলেই দারুন
আর ডানেরটা দারুন একটা জিনিস, নাম প্যাডলক ৩, ৩২ জিবির একটা পেনড্রাইভ। কিন্তু সবচেয়ে জোশ ফিচার হলো এর হার্ডওয়ার লকের বিষয়টা (256-bit AES hardware encryption)। আপনি আপনার নিজের মতো কম্বিনেশন সেট করে লক করে রাখতে পারবেন। সঠিক কম্বিনেশন না দিলে পেনড্রাইভ ওপেন হবে না, ফাইলও ডিক্রিপ্ট হবে না মাল্টিপল ফেইল্ড এটেম্পট এ ইউজার পাসওয়ার্ড লক হয়ে যাবে, তখন আর মাস্টার পাসওয়ার্ড ছাড়া খুলবেই না। পাসওয়ার্ড একেবারেই ভুলে গেলে ডাটা রিসেট করে ফেলা যাবে, পুরো ড্রাইভ তখন ক্লিন হয়ে যাবে। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ফিচারটা
যদিও আপনি চাইলে ম্যাকে এনক্রিপ্টেড ফাইলসিস্টেম ব্যবহার করে যেকোনো পেনড্রাইভকেই পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করে রাখতে পারবেন, উইন্ডোজেও বিটলকার দিয়ে পারবেন একই কাজ করতে – আর লিনাক্সে তো জিপিজি আছেই, তাছাড়া এক্সটার্নাল আরো সফটওয়্যার আছে একই কাজ করার জন্য। তবে হার্ডওয়্যার লকের বিষয়টা আমার কাছে ভালো লেগেছে অনেক
ভয়েজার জিটি (১২৮ জিবি) – দাম ১৯৫০ টাকা, আর প্যাডলক ৩ (৩২ জিবি) দাম ৯৫০ টাকা
🙂
সাইটের ব্যাকআপ রাখা যে কত জরুরী এটা তখনই বোঝা যায় যখন সাইট করাপ্ট হয়ে যায় বা সার্ভারের সব ডেটা হারিয়ে যায়, কিন্তু রিস্টোর করা যায় না কারন কোন ব্যাকআপ রাখা হয়নি। তখন জাস্ট মাথায় হাত দিয়ে কান্নাকাটি করা ছাড়া উপায় থাকে না।
লার্ন উইথ হাসিন হায়দার থেকে চলেন আজকে মাত্র এগারো মিনিটের এই টিউটোরিয়ালে কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের ব্যাকআপ নিতে হয়, সেটা রিস্টোর করতে হয়, এবং চাইলে সেই ব্যাকআপগুলো এক ক্লিকে গুগল ড্রাইভে সেভ করে রাখা যায়, সেগুলো শিখিয়ে দেই। আর পুরো বিষয়টাই এত সহজ, এত সহজ, যে আপনি দেখার পরে ভাববেন কেন এতদিন আমার সাইটের ব্যাকআপ নেইনি।
১) মাসে একবার ক্লাচ কেবলে এবং অ্যাক্সিলারেটর কেবলে লুব দিন, ম্যানল বা WD-40 ব্যবহার করতে পারেন। ইঞ্জিন অয়েল দিবেন না, তাহলে স্টিকি হয়ে যাবে কয়েকদিন পরেই, আরও বেশি জ্যাম হয়ে গেছে বলে মনে হবে।
২) টায়ার পরিবর্তন করলে সামনে পিছনে একই প্যাটার্নের টায়ার ব্যবহার করুন, এতে কন্ট্রোলিং ক্ষমতা, ব্রেকিং এবং কর্নারিং এর সময়ে বাইকের পারফরম্যান্স অনেক ভালো পাবেন।
৩) নন-ওরিং চেইন হলে সপ্তাহে একবার লুব দিন, কিংবা প্রতি ৪০০-৫০০ কিলো রাইড করলেই লুব দিন। লুব দেয়ার আগে কেরোসিন দিয়ে চেইন পরিষ্কার করে নিবেন। ওরিং চেইন হলে আরেকটু বেশি চালাতে পারবেন প্রতিবার ক্লিন করার আগে। রেগুলার চেইন চেক করবেন যেন ড্রাই না থাকে। আর চেইনে ইঞ্জিন অয়েল না দিয়ে ডেডিকেটেড চেইন লুব (যেমন মটুল চেইন লুব) কিংবা ১৪০ গ্রেডের গিয়ার অয়েল দিবেন। ম্যানল বা WD-40 খুব দ্রুত ড্রাই হয়ে যায়। আর ভুলেও ওরিং চেইনে ডিজেল বা অকটেন দিবেন না, তাহলে ওরিং চেইনের লিঙ্কগুলোর মাঝে যে রাবার রিং থাকে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। সপ্তাহে একবার চেইন লুজ কিনা সেটা চেক করে নেবেন।
৪) রেগুলার চাকার এয়ার প্রেশার চেক করুন। সামনে ২৫-৩০ পিছনে ৩০-৩৫ পিএসআই এর মাঝেই রাখবেন।
৫) প্রতি ১০০০ কিলো পর পর এয়ারফিল্টার ক্লিন করে নেবেন
৬) রেগুলার ইঞ্জিন অয়েল লেভেল চেক করবেন, কমে গেলে টপ আপ করে দেবেন
৭) মাঝে মাঝে ব্রেক প্যাড চেক করবেন। যদি দেখেন প্যাড অনেক পাতলা হয়ে গেছে, ২ মিলিমিটারেরও কম, তাহলে পরিবর্তন করে ফেলাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
৮) মাঝে মাঝে টায়ার এর দুই সাইড চেক করে দেখবেন কোন টিউমার দেখা যায় কিনা, দেখা গেলে সাথে সাথেই টায়ার পরিবর্তন করা দরকার।
৯) দিনের শুরুতে মোটরসাইকেল স্টার্ট দিয়ে সাথে সাথে চলা শুরু করবেন না বা থ্রটল ঘুরাবেন না। মিনিমাম এক মিনিট অপেক্ষা করুন, এই সময়ের মাঝে ইঞ্জিন অয়েল ইঞ্জিনের সব জায়গায় পৌঁছে যাবে। এই সামান্য অভ্যাসটুকু আপনার বাইকের ইঞ্জিনের স্থায়িত্ব বাড়িয়ে দেবে বহুগুন।
১০) ১০০০০ কিমি পরপর, কিংবা ইঞ্জিনের সাউন্ডে ক্লিক ক্লিক আওয়াজ পেলে ইঞ্জিনের ভালভ ক্লিয়ারেন্স অ্যাডজাস্ট করে নেবেন ( অনেকে যেটাকে ট্যাপেট অ্যাডজাস্টমেন্ট বলে)
একটা বই লেখার সবচেয়ে কঠিন কাজ হল “টেবিল অফ কনটেন্টস” লেখা। কিন্তু এটা ছাড়া বই শুরু করা যায় না। অনেকসময় এই টেবিল অফ কনটেন্টস লিখতেই চলে যায় কয়েক সপ্তাহ। এই টিওসি লিখতে গিয়েই অনেকে হাল ছেড়ে দেয়। কিন্তু একটু কষ্ট করে এটা লেখা হয়ে গেলে পুরো বইটা লেখাই অনেক সহজ হয়ে যায়। তখন আর বই লেখার মত কঠিন একটা কাজ কে আর কঠিন মনে হয় না তেমন
শুরু করাটাই সবচেয়ে কঠিন, কিন্তু একটু কষ্ট করে শুরু করে ফেললে এগিয়ে যাওয়াটা তুলনামূলকভাবে সহজ
সুতরাং কিছু করতে চাইলে শুরু করে ফেলুন। চোখ কান বুঁজে, কারো কথায় কান না দিয়ে, পুরোপুরি ফোকাস করে শুরু করে ফেলুন। দেখবেন, ভবিষ্যতে আপনি নিজেই নিজেকে অসংখ্যবার ধন্যবাদ দিবেন আজকের এই দিনটির জন্য।
অনেকেই মনে করে এপিআই প্রজেক্ট মানেই অনেক অনেক কঠিন কিছু। তারউপরে নোডজেএস হলে তো কথাই নাই। সাথে জেসন ওয়েব টোকেন? থাক আর করা লাগবে না! অথচ এগুলো সবই কিন্তু খুবই সহজ। চলেন “লার্ন উইথ হাসিন হায়দার” থেকে আমরা নোডজেএস দিয়ে একটা ছোট্ট এপিআই প্রজেক্ট তৈরী করে সেটা জেসন ওয়েব টোকেন বা JWT দিয়ে সিকিউর করে ফেলি
কেমন লেগেছে জানাবেন কিন্তু
https://learnwith.hasinhayder.com/
I purchased my Canon 550D in 2011, and then I purchased a great set of lenses. Eventually, I owned a 5D Mark II and a 6D. But then it suffered a long pause. I wish I was a full-time photographer but not for making a living through it. Photography was more like showing everyone else how I see the world and objects around me. It’s pretty fun.
Here is a set of portraits I captured yesterday, in a birthday party thrown by one of my biker brothers. The party was full of bikers and it was a great get together.
উত্তরা বিআরটিএ থেকে মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপের ডেট বাড়ানো, ডিজিটাল নাম্বার প্লেট তোলা, ফিংগার প্রিন্ট দেয়া এবং স্মার্ট কার্ড তোলার ডিটেইলস
১. রেজিস্ট্রেশন অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপের ডেট বাড়াতে হলে: স্লিপ নিয়ে সোজা চলে যান ১০৩ নম্বর রুমে, সেখানে কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকা লোকটিকে কাগজপত্র দিন এবং বলুন যে আপনি স্লিপের ডেট বাড়াতে চান। তিনি আপনার কাগজের ডিটেইলস দেখে ডেট বাড়িয়ে একটা সীল মেরে দেবে। এর মাঝে যদি আপনার ডিজিটাল নাম্বার প্লেট রেডি হয়ে যায়, তাহলে আর ডেট বাড়াবে না।
যা যা নিয়ে যাওয়া লাগবে: রেজিস্ট্রেশন অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ এবং এনআইডির ফটোকপি। সাথে অরিজিনাল রেজিস্ট্রেশন অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ এবং এনআইডি রাখা লাগবে। অরিজিনাল কাগজ সাথে না রাখলে আপনাকে ফিরে যেতে হবে
কতক্ষন লাগে: পাঁচ ছয় জনের লাইন থাকে, দশ/বিশ মিনিটের বেশি লাগে না
২. ডিজিটাল নাম্বার প্লেট (ডিএনপি) লাগাতে হলে: আপনার কাছে এসএমএস আসলে, বা বেশ অনেকদিন হয়ে গেলে, বা ১০৩ নম্বর রুম থেকে কোন তথ্য পেলে (যে আপনার ডিএনপি রেডী) বাইক নিয়ে সোজা চলে যান উত্তরা বিআরটিএর সামনে। ওখানে মোটরসাইকেলের পার্কিংয়ের সাইনবোর্ড আছে, সেখানে পার্ক করে রাখুন। কিছুক্ষন পর পর বিআরটিএর ইন্সপেক্টর এসে চেক করে পার্ক করে রাখা বাইকগুলো। আপনার বাইকের কাছে আসলে রেজিস্ট্রেশন অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপের ফটোকপি ওনাকে দিন। এবার আর কোন কাজ নেই বসে থাকা ছাড়া। আধা ঘন্টা থেকে পঁয়তাল্লিশ মিনিট অপেক্ষা করুন। একসময় একজন লোক পার্কিং এর জায়গায় অনেকগুলো নাম্বার প্লেট নিয়ে আসবে এবং নাম্বার ধরে ধরে জোরে ডাক দিবে। আপনার নাম্বার ধরে ডাকলে আপনি আপনার ডিজিটাল নাম্বার প্লেট এবং স্ক্রু (২ টা) তার কাছ থেকে নিয়ে নিন। তাকে দিয়ে লাগানোর কোন দরকার নাই, অপেক্ষা করুন। চলে যাবেন না এখনই
একটু পর আবার সেই ইন্সপেক্টর আসবে ছবি তোলার জন্য। আপনার বাইকের কাছে এসে আপনার নাম্বার প্লেট স্ক্যান করে আপনাকে বাইকের পাশে দাঁড়াতে বলবে, এবং বাইক সহ আপনার ছবি তুলবে। ব্যাস, কাজ শেষ। আপনি নাম্বার প্লেট এদেরকে দিয়েও লাগাতে পারেন, নিজে পরিচিত গ্যারেজে গিয়েও লাগাতে পারেন। আমি সাজেস্ট করব গ্যারেজে নিয়ে যেতে। সেখানে ১৫০ টাকা দিয়ে একটা নাম্বার প্লেট হোল্ডার (স্টিলের শক্ত প্লেট, যাতে কারো সাথে বাড়ি খেলেও নাম্বার প্লেট খুলে না পড়ে যায়) কিনে আপনার বাইকের সাথে ডিজিটাল নাম্বার প্লেট গ্যারেজের লোক দিয়েই লাগিয়ে নিন।
যা যা নিয়ে যাওয়া লাগবে: রেজিস্ট্রেশন অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ এর ফটোকপি। সাথে অরিজিনাল রেজিস্ট্রেশন অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ রাখা লাগবে। অরিজিনাল কাগজ সাথে না রাখলে আপনাকে ফিরে যেতে হবে। মাঝে মাঝে ডিএনপির পেমেন্ট এর রশিদও দেখতে চায়, সুতরাং সাথে রাখা ভালো
কখন গেলে ভালো হয়: প্রসেস শুরু হয় নয়টা, সাড়ে নয়টা থেকে। অনেকে হুদাই সকাল সকাল কিংবা সাতটা আটটার দিকে দাঁড়িয়ে থাকে। কোন দরকার নাই। সাড়ে এগারোটার মাঝে যেকোন সময় যান। এর পরে গেলে নামাজ এবং লাঞ্চ ব্রেকে পড়ে যাবেন, অহেতুক এক/দেড় ঘন্টা বেশী সময় লাগবে।
৩. ডিজিটাল স্মার্ট কার্ডের জন্য ফিংগারপ্রিন্ট দিতে হলে: আগে ডিজিটাল নাম্বার প্লেট লাগাতে হবে, বা অ্যাটলিস্ট ডিজিটাল নাম্বার প্লেটের এসএমএস আসা লাগবে। এই দুটোর কোন একটা হয়ে গেলে রেজিস্ট্রেশন অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ এবং এনআইডির ফটোকপি নিয়ে সোজা চলে যান ১০৩ নম্বর রুমে। সেখানে কম্পিউটারে বসে থাকা একজন লোক আপনার স্লিপ দেখে সেখানে রেজিস্ট্রেশন অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ এর ফটোকপির উপরে আপনার সিরিয়াল নম্বর লিখে দিবে, যেমন ২২ বা ২৩ বা এরকম কিছু। এবার সেটা এবং অরিজিনাল রেজিস্ট্রেশন অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ নিয়ে ১০২ নম্বর রুমের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে যান। ওখানে দুইটা লাইন একসাথে, একটা স্মার্ট কার্ড বিতরনের লাইন, আরেকটা ফিংগার প্রিন্টের লাইন। সুতরাং বুদ্ধি করে দাঁড়ান। আপনার সিরিয়াল আসলে কম্পিউটার নিয়ে বসা লোকটার সামনে বসে পড়ুন এবং তাকে রেজিস্ট্রেশন অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ এর সিরিয়াল লেখা ফটোকপি, এনআইডির ফটোকপি এবং রেজিস্ট্রেশন অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ এর অরিজিনাল কপি দিন। উনি আপনার ফিংগার প্রিন্ট নিবে এবং সাইন করতে বলবে। সাইন টা মনে রাখবেন, পরবর্তীতে বাইক সেল করতে হলে (মালিকানা ট্রান্সফার করতে হলে) এই সাইন মিলতে হবে, নাহলে অনেক ভেজাল। সাইন করা হয়ে গেলে এই লোক আপনার ফটোকপিগুলো রেখে দিবে এবং অরিজিনাল রেজিস্ট্রেশন অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ এর উপরে ডেট বাড়িয়ে একটা সীল মেরে দিবে। ব্যাস, আপনার কাজ শেষ, এখন যেতে পারেন 🙂
কতক্ষন লাগে: পাঁচ ছয় জনের লাইন থাকে, আধা ঘন্টার বেশি লাগে না
৪. ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড তুলতে হলে: যখন আপনি ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড রেডী হয়ে গেছে টাইপের এসএমএস পাবেন, তখন রেজিস্ট্রেশন অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ এর অরিজিনাল কপি এবং একটা ফটোকপি নিয়ে চলে যান সেই আগের ১০৩ নম্বর রুমে কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকা লোকটার সামনে। তাকে অরিজিনাল রেজিস্ট্রেশন অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ টা দিন, উনি আপনার স্মার্ট কার্ডের বক্সের নাম্বার লিখে একটা সাইন/সীল মেরে দিবে। এবার সেই কপি নিয়ে নিয়ে ১০২ নম্বর রুমের বামপাশে গ্রীলের সামনে লাইনে দাঁড়ান। আপনার সিরিয়াল আসলে ভেতরের লোকটাকে আপনার অরিজিনাল রেজিস্ট্রেশন অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ টা দিন। সেই লোক বক্স থেকে আপনার স্মার্ট কার্ড বের করে ১০২ নম্বর রুমে বসে থাকা আরেকজন লোকের কাছে দিবে। ঐ যে মনে আছে, যেই লোকটা আপনার ফিংগারপ্রিন্ট নিয়েছিল, সেই লোকের কাছে। এবার সেই লোকের সামনে লাইনে দাঁড়ান। সেই লোক কিছুক্ষন পরে আপনার বাইকের নম্বর ধরে জোরে ডাক দিবে। তখন সেই লোকের কাছে যান, সেই লোকটা আপনার স্মার্ট কার্ডের বারকোড স্ক্যান করে আপনাকে ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড টা দিয়ে দিবে এবং আপনার অরিজিনাল রেজিস্ট্রেশন অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ টা রেখে দিবে। কংগ্র্যাচুলেশনস, বাইক নিয়ে আপনার যাবতীয় আজাব আপাতত শেষ
কতক্ষন লাগে: দশ বারোজনের জনের লাইন থাকে, আধা ঘন্টার বেশি লাগে না
নোট: উত্তরা বিআরটিএ তে লাঞ্চ এবং নামাজের ব্রেক একটা থেকে দুটা, সুতরাং এই সময়টা অ্যাভয়েড করবেন।
এই আর্টিকেলটা ভালো লাগলে জানাবেন। শেয়ার করবেন যাতে অন্যরাও পুরো সিস্টেমটা জানতে পারে এবং অহেতুক ভোগান্তি/সময়-নষ্ট/ঘোরাঘুরি/টাকা-পয়সা-নষ্টের শিকার না হয় 🙂